×

সুন্ধ-উপসুন্ধ বধ

সুন্ধ আর উপসুন্ধ ছিল দৈত্য হিরণ্যকশিপুর পুত্র। এই দুজন ছিল সেই সময়ের সবচেয়ে শক্তিশালী দৈত্য। একবার তারা অমরত্ব লাভের আশায় দেবতা ব্রহ্মার তপস্যা শুরু করলো। সাধনায় তুষ্ট হয়ে ব্রহ্মা তাদের বর দিলেন কোন মানুষ এই দুই ভাইকে বধ করতে পারবে না। একমাত্র নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ করলেই দুভাই মারা যাবে। দেবতার বরে অপারেজেয় দুই দৈত্য ভাবলো এবার তারা ত্রিলোক – স্বর্গ,মর্ত্য,পাতাল শাসন করবে। সুন্ধ-উপসুন্ধ ত্রিলোক আক্রমণ করে সেখানকার সব নারীদের বন্দী করলো। যখনই ইচ্ছে হত মেয়েদের ওপর অত্যাচার চালাতো তারা। দেবতারা চিন্তায় পড়ে সমস্যা সমাধানের জন্য ব্রহ্মার শরণাপন্ন হলেন। তখন ভগবান বিশ্বকর্মা সুন্ধ-উপসন্ধুকে বশীভূত করার জন্য এক অপূর্ব সুন্দরী রমণী সৃষ্টি করলেন। সেই সুন্দরীকে দেখে মাথা ঘুরে গেল তাদের। তারা দুজনেই তাকে পেতে চাইলো, নিজেদের মধ্যেই যুদ্ধ শুরু করলো তারা। ভয়ঙ্কর যুদ্ধে তারা দুজনেই মারা গেল।

সারকথা

সুন্ধ ও উপসন্ধু নামে দুই দৈত্য অমরত্বের জন্য তপস্যা শুরু করলো। ব্রহ্মা তাদের অপারেজেয় হওয়ার বর দিয়ে বললেন, একমাত্র নিজেদের মধ্যে যুদ্ধেই তারা মারা যাবে। এই বর পেয়ে তারা ত্রিলোকে নারীদের ওপর অত্যাচার শুরু করলো। সমস্যা সমাধানের জন্য বিশ্বকর্মা এক অপরূপা রমণীকে সৃষ্টি করলেন। তাকে পাওয়ার জন্য দুই ভাইয়ের যুদ্ধ বাঁধলো, তাতেই তারা মারা গেল।